প্রাচীন বঙ্গের রাজধানী ইিসেবে পুন্ডুনগর বা মহাস্হানগড় ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক একটি প্রানকেন্দ্র। মহাস্হানগড়ের মত এ এলাকায় আর কোন নগরের এত দীর্ঘ ইতিহাস নেই । এটি ছিল মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও অন্যান্য রাজন্যবর্গের শাসন কেন্দ্রস্হল । এ নগরীর কীর্তির ধ্বংসাবশেষ ও খননকালে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকা হতে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তু প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ১৯৬৭ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীনে মহাস্হান জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় । প্রতিষ্ঠা-লগ্নে জাদুঘরে সর্বমোট ১২ইঢৌ প্রদর্শনী ছিল । জাদুঘরের ভেতরে বর্তমানে মোট ৪৪টি শোকেস রয়েছে । এর মধ্যে একটিতে পাহাড়পুর ও দুটোতে কুমিল্লার ময়নামতিতে প্রাপ্ত মূল্যবান প্রত্নসামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে । প্রত্নবস্তুর মধ্যে কালো চকচকে মৃৎপাত্রের টুকরা, কপারকাস্ট কয়েন, পোড়ামাটি ফলক, পাথরের গুটিকা, হিন্দু বৌদ্ধ মূর্তি, পোড়ামাটি ফলক, জালের গুটিকা, অলংকৃত বল, অলংকৃত ইট, মসজিদের শিলালিপি, গ্লেজড টাইল, অলংকৃত কাঠের দরজা ও বিভিন্ন সময়ের তৈজসপত্র ।
বন্ধ-খোলার সময়সূচীঃ
গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা ২.০০ থেকে বাগেরহাট জাদুঘর খোলা থাকে। এছাড়াও সরকারী কোন বিশেষ দিবসে বাগেরহাট জাদুঘর খোলা থাকে ।
কিভাবে যাবেন
বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কি.মি. উত্তরে মহস্হানড় অবস্হিত । বগুড়া শহর থেকে বাসে অথবা অটোরিক্সা মহাস্হানগড় যাওয়া যায় । মহাস্হাগড়বাস বাসষ্ট্যান্ড ১ কি.মি উত্তরে মহাস্হান জাদুঘর । রিক্সায় ১০ টাকার ভাড়া । দর্শনাথী ইচ্ছা করলে পায়ে হেঁটেও মহাস্হানগড় জাদুঘর দেখতে যেতে পারেন।