গরু স্তম্ভ থেকে মাত্র ৫ মাইল উত্তর- পশ্চিমে এর অবস্থান। মাঝারি আকারের উচু এ ঢিবির কোন কোন অংশে ইটের দেয়ালের পাথুনী অনাবৃত আছে। এ ছাড়া এর পৃষ্ঠাদেশ অসংখ্য পাটকেল ও বহুদূর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে দীঘ- পুঞ্চরীনি দেখা যায়। ১৯৮৪ সালে এস্থান থেকে তিনটি ধ্যানী সূক্ষ্ণ মূর্তি সম্বলিত কালো পাথরের তৈরি একটি পটুঠেসের অংশ বিশেষ এবং একটি ছোট আকারের ব্রোঞ্চের ঘন্টার ভগ্নাংশ পাওয়া গেছে। এ হস্তান্তরযোগ্য প্রত্ননিদর্শণগুলো বর্তমানে পাহাড়পুর জাদুঘর সংরক্ষিত আছে। এবং আবিষ্কারের সাথে নন্দীর রামচরিতের বর্ণণা মিলিয়ে পন্ডিতগণ এ ধারণায় উপনীত হয়েছেন যে, এখানে একটি মহাবিহারে ধ্বংসবশেষ গচ্ছিত আছে। ঢিবির আকৃতি দৃষ্টে স্পষ্ট অণুনিত এ ঢিবি একটি বিহারের ধ্বংসাবশেষ । এ বিহারটি একাদশ দ্বাদশ শতকে পাল বংশের রাজা রামপাল কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। অচিরেই এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন পরিচালনা করা আবশ্যক।