Wellcome to National Portal
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ জুলাই ২০১৫

দরবার হল

পুকুর হতে ১৩০ ফুট পশ্চিমে দ্বিতল বিশিষ্ট দরবার হল ও তৎসংগলণ হাম্মামখানা শাহজাদা আজম কর্তৃক নির্মিত বলে কোন কোন ঐতিহাসিক উল্লেখ করলেও এর সপক্ষে কোন নির্ভুল তথ্য নেই । সমসাময়িক প্রমাণ ব্যতীত শুধুমাত্র ঐতিহাকিদের বক্তব্য দ্বারা যে কোন বিষয়ে স্হির সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া অন্ততঃ প্রত্নতত্ত্ববিদের পক্ষে উচিত নয় । কারণ, এই দুইজনের সহাপত্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই ।

দরবার হলের নীচের তলা ১০৭ ফুট লম্বা এবং এর সম্মুখভাগে কেন্দ্রীয় কক্ষে তিনটি, পার্শ্বের দুই কক্ষে দুইটি ও দুই পাশের্বর দুই সিঁড়ি ঘরে ২টি মোট ৭টি দরজা রয়েছে । সিঁড়িঘর ব্যতীত বিপরীত দেয়ালেও অনুরূপ দরজা ছিল, তা বন্ধ করে বর্তমানে শো-কেইস করা হয়েছে । প্রত্যেকটি দরজাই সামান্য অন্তঃপ্রবিষ্ট প্যানেলের মাঝে খিলানে নির্মিত । কেন্দ্রীয কক্ষটির দৈঘ্য ২৬.৫৮ ফুট ও প্রসহ ১৮.২৫ ফুট । কেন্দ্রীয় কক্ষের ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি অতি মনোরম ঝর্ণা । এর মাঝে ঝর্ণা পাইপ বসানো ছিল। ঝর্ণা বরাবর পশ্চিম দেয়ালের সংস্কার সাধন করা হয়েছে । হাম্মাম খানায় রয়েছে একটি শৌচাগার ও প্রশাধন কক্ষ, গরম পানির আধার ও একটি চৌবাচ্চা । চৌবাচ্চায় নামার জন্য সিড়ি দেখে মনে হয় চৌবাচ্চায় নেমে গোসল করার জন্যই এ ব্যবস্হা ছিল ।  হাম্মামের অভ্যন্তরে উত্তর-পশ্চিম কোণে পানি গরম করার চুলাও রয়েছে । এখানে আরও একটি বন্ধ কুঠুরীর প্রয়োজনীয়তা এখন পর্যন্ত নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি । এছাড়া হাম্মামের দক্ষিণ দিকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই ইমারতের ভিত উন্মোচিত রয়েছে । ভিত হতে এটি জটিল সহাপত্যের পূর্ণাংগ পরিকল্পনা উদ্ধার করা বর্তমানে সম্ভব না । তবে এই বিস্তীর্ণ এলাকায় নবাবের মূল বাসস্হান থাকাই স্বাভাবিক । কারণ, এ দিক হতে হাম্মামে প্রবেশের একাধিক প্রবেশ দ্বার রয়েছে ।

উভয় পাশের্বর একতলাবিশিষ্ট সিড়িঘর দুইটি ব্যতীত বাকী তিন কক্ষবিশিষ্ট দরবার হলটি দ্বিতল । দুই পার্শ্বের কক্ষে রয়েছে সমতল ছাদ । কেন্দ্রীয় কক্ষের ছাদ দেখতে অনেকটা বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা অথবা দোচালা খড়ের ঘরের মত । একই ইমারতের মোগল সহাপত্য ও দেশীয় সহাপত্যের সংমিশ্রণ সমগ্র দরবার হলকে করেছে অপুর্ব সৌন্দর্য্যের অধিকারী । ছাদের উপর প্যরাপেট দেয়াল ও পাথরের ব্যাকেটের উপর সমান্তরাল কার্নিশ রয়েছে ।