আনন্দ বিহার থেকে প্রায় ৫০০ মিটার ও রূপবান কণ্যার বিহার থেকে প্রায় ২০০ মিটার দক্ষিনে অবস্থিত ভোজ রাজার বাড়ি বা ভোজ বিহার। স্থানীয় ভাবে আগে এই ঢিবিটিভোজ রাজার বাড়ি নামে পরিচিত ছিলো, উৎখননে এখানে একটি বড় বিহার আবিষ্কৃত হয়েছিল।
এখানে ৪৫২/৪৫২ ফুট আয়তনের একটি বর্গাকৃতির বিহার পাওয়া গিয়েছে।
আনন্দ এবং শালবন বিহারের মতো এই বিহারটিতেও ভিতরে উন্মুক্ত বড় অঙ্গন এবংবড় আকারের কেন্দ্রীয় মন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্দিরটি ক্রশাকারে নির্মিত। এখন পর্যন্ত (২০০০) বিহারে প্রবেশপথ সহ খুব সামান্য অংশেই খনন সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে এবং এতে করে বিহারে ১০টি ভিক্ষু কক্ষ পাওয়া গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে প্রায় ১০০ বেশি সুন্দর পোড়ামাটির ফলক পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া বিহারের ধবংসস্তুপের মধ্যে আরও যেসব প্রত্ননিদর্শন পাওয়া গেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মিশ্র ধাতুর ভাস্কর্যের খন্ডাংশ, দু’টি বুদ্ধ ভাস্কর্য, হরিকেল রৌপ্য মুদ্রা ইত্যাদি।