Wellcome to National Portal
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ জুলাই ২০১৫

জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খ্যাত ও অখ্যাত প্রান্তগুলোতে অসংখ্য জাতি (Nation), জনগোষ্ঠী (Ethnic group), আদিবাসী (Aborigine), ও মৌলগোষ্ঠী (Tribe) বাসবাস করছে। এদের প্রত্যেকেরই বিশেষ দৈহিক গড়ন ভাষা, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভাস, ধর্ম, রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান, বিশ্বাস ও জীবন যাত্রার ধরন রয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে একের সাথে অপরের কিছু কিছু সাদৃশ্যও পরিলক্ষিত হয় বটে। এই সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যগুলোর তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি, জনগোষ্ঠী, আদিবাসী ও মৌলগোষ্ঠীগুলোর উদ্ভব, বিকাশ এবং পারস্পরিক জাতিতত্ত্বের বিষয়ে একটি রূপরেখা নির্ণয় করা সম্ভব হয়। তাছাড়া বিচিত্র মানুষের বৈচিত্রময় জীবন ব্যবস্থা সহজেই সকলকে আকৃষ্ট করে। আর এসব বিষয় নিয়ে যে আলোচনা তা-ই জাতিতত্ত্ব (Ethnology)।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত জাদুঘরটির বিষয়বস্ত্ত জাতিতত্ত্ব। একতলা বিশিষ্ট দক্ষিণমুখি এই জাদুঘরে একটি কেন্দ্রীয় হলঘরসহ মোট চারটি গ্যালারী। প্রতিটি গ্যালারীতে তিনটি করে কক্ষ নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও এ যাবত পশ্চিম বাহুর গ্যালারী দুটির প্রত্যেকটিতে দুটি করে কক্ষ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে বর্তমানে

দর্শকদের পরিদর্শনের জন্যে ১৯৭৪ সালের ৯ জানুয়ারি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় একতলা বিশিষ্ট দক্ষিণমুখি জাদুঘর ভবন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবন ধারায় প্রতিফলিত প্রত্ন সংস্কৃতির পরিচয়কে মানচিত্র, আলোকচিত্র, মডেল, কৃত্রিম পরিবেশ, দেওয়ালচিত্র, সংক্ষিপ্ত আলোকচিত্র, মডেল, কৃত্রিম পরিবেশ, সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ফলক ইত্যাদির মাধ্যমে এর প্রদর্শনীর বিষয়বস্ত্তকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জাদুঘরে একটি ছোট লাইব্রেরীও আছে। জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর শুধু দেশি-বিদেশি পেশাদার দর্শকদের জ্ঞানানু সন্ধানের আকাঙ্ক্ষাই নিবৃত করে না, বরং সকল শ্রেণীর দর্শক পর্যটকদের বিপুল আনন্দেরও খোরাক যোগায়।

এই জাদঘুরে প্রায় ২৫টি আদিবাসীসহ বিদেশি ৫টি দেশের জাতিতাত্ত্বিক সামগ্রীর তুলনামূলক বিশ্লেষণের জন্যে প্রদর্শিত রয়েছে। যে কোন দর্শক বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান কিরগিজস্থান, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানীর জাতিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে সক্ষম হবেন। প্রদর্শিত আদিবাসীদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, স্নো, বম, খিয়াং, খুমি, চাক, রাখাইন, পাবেখো- সিলেট অঞ্চলের খাসিয়া, মনিপুরী, পাঙন, (মুসলিম মনিপুরি) পাত্র, ময়মনসিংহ অঞ্চলের গারো, হাজং, দালু, মান্দাই, কোচ, রাজশাহী দিনাজপুর অঞ্চলের সাঁওতাল, ওরাঁও, রাজবংশী, পলিয়া, কোচ, যশোহর, ঝিনাইদহ অঞ্চলের বুনো, বা বোনা, বাগদি প্রভৃতিসহ পাকিস্তানের পাঠান, সিন্ধি, পাঞ্জাবী, কাফির, সোয়াত, ভারতের আদি, ফুওয়া, মুরিয়া, মিজো, কিরগিজস্থানের (প্রাক্তন রাশিয়া) কিরগিজ, অস্ট্রেলিয়ার অষ্ট্রাল এবং দুই জার্মানীর মিলন প্রাচীরের ভগ্নাংশের কিছু নির্দশন জাদুঘরে প্রদর্শিত আছে।

জাদুঘরের কেন্দ্রীয় কক্ষের প্রবেশ পথে রয়েছে টিকিট কাউন্টার, তিনটি মানচিত্র ও ইটালীর চিত্রশিল্পী মি. ক্যারোলীর ১২টি দেওয়াল চিত্র। দেওয়াল চিত্রে অর্ধেক বাংলাদেশের আদিবাসী ও পাকিস্তানী আদিবাসীদের বিভিন্ন জীবন যাত্রার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া ত্রিপুরা ও পাঞ্জাবী নারীর দু’টি মডেল, ম্রোদের জীবনযাত্রার ধরণসহ ধর্মীয় গো হত্যার উৎসবের ডায়রোমা, বাংলাদেশের বিভিন্ন আদিবাসীসহ পাকিস্তানের জনগোষ্ঠীর অলংকার, বাংলাদেশের পার্বত্যজেলায় বসবাসরত আদিবাসীদের বাসগৃহের নমুনা এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রকাশিত বিভিন্ন বই ও ভিউকার্ডের শোকেইজ।

জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে বসবাসরত এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠী সম্পর্কে ধারণা লাভ সম্ভব। বিশেষ করে সমতল ভূমিতে বসবাসকারী বাংলাদেশের। এই জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রত্যেক জীবনধারাতে স্বতন্ত্র বৈচিত্র্য রয়েছে সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বিলুপ্ত প্রায় জাতিসত্ত্বার অস্তিত্ব এই জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের মাধ্যমে আঁকড়ে রাখার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।

টিকেট প্রাপ্তিস্থানঃ     

জাদুঘরের গেটের  পাশেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার, জনপ্রতি টিকেট এর দাম  পনের টাকা করে, তবে পাঁচ বছরের কম কোন বাচ্চার জন্যে টিকেট এর দরকার পড়েনা। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশু-কিশোরদের জন্য প্রবেশ মুল্যে নির্ধারন করা হয়েছে ৫ টাকা। সার্কভুক্ত বিদেশি দর্শনার্থীর জন্যে টিকেট মূল্য পঞ্চাশ  টাকা এবং অন্যান্য বিদেশী দর্শকদের জন্য টিকেটের মূল্য একশত টাকা করে।

 

বন্ধ-খোলার সময়সূচীঃ

গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা  ২.০০ থেকে   খোলা থাকে। এছাড়াও সরকারী কোন বিশেষ দিবসে জাদুঘর থাকে ।


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon