বগুড়া নগরবাড়ী মহাসড়কের হাটিকুমরুলবাস ষ্ট্যান্ড হতে প্রায় এক কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত হাটিকুমরুল একটি প্রাচীন গ্রাম। এ এলাকা পূর্বে হিন্দু অধ্যষিত ছিল। এখন কয়েকটি হিন্দু পরিবার এখানে বসবাস করার পূর্বে এ গ্রামে হিন্দুদের অনেক প্রাচীন আবাস ইমারত ও মন্দির ছিল। বর্তমানে এখানে ৪ ( চার ) টি হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ লক্ষ্য করা যায়। এ চারটি মন্দিরের মধ্যে নবরত্নমন্দিরটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বর্গকার পরিকল্পনায় ( ৫৫’-৭’’) / ৫৫’-৭ নির্মিতি ত্রিতল বিশিষ্ট এ মন্দিরটি একটি উঁচু প্লাটফর্মের উপর অবস্থিত।মন্দিরের ১ম ও ২য় তলার ছাদের চারকোণে চারটি করে ৮ ( আট ) টি চূড়া বেং সর্বশেষ তলার উ পর একটি চূড়া মোট ৯( নয় ) চূড়া বা রত্ন ছিল। বর্তমানে সব কয়টি চূড়াই বিলুপ্ত। তবে উহাদের ভিতরে কিছু কিছু নিদর্শণ বিদ্যমান। একটি গর্ভগৃহকে কেন্দ্র করে মন্দিরটি ধাপে ধাপে সমম্বয়ে সরু হয়ে উপরে উঠেছে। গর্ভগৃহের চতুপার্শ্বে আছে টানা বারান্দা। বারান্দার ছাদ বাংলা কুড়ে ঘরের ন্যায় পদ্ধতিতে নির্মিত। নীচ তলার বারান্দাটি উত্তর পূর্ব কোণে একটি ঘূর্নায়মান সিড়ির সাহায্যে মন্দিরের উপর উঠার ব্যবস্থা ছিল। নবরত্ন মন্দিরটি পোড়ামাটির অলংকরণে সমুদ্ধ ছিল। বর্হিদেয়াল ও খিলানের স্তম্ভের কিছু কিছু নিদর্শণ লক্ষ্য করা যায়। নির্মাণ শৈলী, স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য ও অলংকরণ দৃষ্টে অণুমিতহয় যে, হাটিকুমরুলসস্থ আলোচ্য নবরত্ন মন্দিরটি উনবিংশ শতকে নির্মিত হয়েছিল।