১৯৯৫ সালে নির্মিত হয়েছে বাগেরহাট জাদুঘর । ঐতিহাসিক বাগেরহাট শহরের সুন্দরঘোনায় ষাট গমবুজ মসজিদ ক্যাম্পাসের দক্ষিণ পূর্ব কোণে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে । মুসলিম সংস্কৃতি ও খানজাহান আলীর স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এটি তৈরি । বাগেরহাট অঞ্চল থেকে সংগৃহীত প্রত্ননিদর্শন প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই জাদুঘরটি করা হয়েছে । বাংলার শাসক নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহের আমলে(১৪৪২-১৪৫৯খ্রিঃ) খানজাহান আলী এই অঞ্চল আবাদ করেন । তিনি তখন এলাকার নামকরন করেন খালিফাত-ই-আবাদ। খানজাহান আলীর আগমনের পর জনমানুষের কল্যাণে তিনি তৈরি করেন রাস্তা ঘাট, হাট বাজার এবং অসংখ্য মসজিদ ও দীঘি । কথিত আছে, এই মহাপুরুষ যশোরের বারো বাজার থেকে শুরু করে সমগ্র ভাটি অঞ্চলে ৩৬০টি মসজিদ ৩৬০টি দীঘি খনন করেন ।
খানজাহান আলীর স্মৃতি সংরক্ষণকল্পে জাতিসংঘের অর্থানুকূল্যো ইউনেস্কোর অর্থ সাহায্যে জাদুঘর ভবন নির্মাণ করা হয় । একতলা ভবনের তিনটি গ্যালারি বিশিষ্ট দক্ষিণমুখী জাদুঘর ভবনে সহাপত্যিক বৈশিষ্ট্য ইসলামী সহাপত্যকলাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে ।
টিকেট প্রাপ্তিস্থানঃ
জাদুঘরের গেটের পাশেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার, জনপ্রতি টিকেট এর দাম পনের টাকা করে, তবে পাঁচ বছরের কম কোন বাচ্চার জন্যে টিকেট এর দরকার পড়েনা। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশু-কিশোরদের জন্য প্রবেশ মুল্যে নির্ধারন করা হয়েছে ৫ টাকা। সার্কভুক্ত বিদেশি দর্শনার্থীর জন্যে টিকেট মূল্য পঞ্চাশ টাকা এবং অন্যান্য বিদেশী দর্শকদের জন্য টিকেটের মূল্য একশত টাকা করে।
বন্ধ-খোলার সময়সূচীঃ
গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা ২.০০ থেকে খোলা থাকে। এছাড়াও সরকারী কোন বিশেষ দিবসে জাদুঘর থাকে ।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে বাগেরহাট বাসে যেতে পারেন । বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিক্সা বা লোকাল বাসে আপনি বাগেরহাট জাদুঘরে যাবেন । আপনি ইচ্ছা করলে ঢাকা থেকে বাগেরহাট যাওয়ার পথে বাগেরহাট জাদুঘরের সামনে নেমে যেতে পারেন ।