Wellcome to National Portal
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ August ২০২৪

ইতিহাস

বাংলাদেশ অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের অধিকারী। আড়াই হাজার বছরের অধিক সময় থেকে এদেশে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও শাসক শ্রেণী গড়ে তোলে বসতি, নগর, ইমারত, প্রাসাদ, দুর্গ, মসজিদ, মন্দির, বিহার, স্তূপ, সমাধি সৌধ প্রভৃতি অসংখ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এসব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকাংশই কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজো টিকে আছে, যা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে সমধিক পরিচিত। এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের অনুসন্ধান, খনন, সংস্কার, সংরক্ষণ, প্রদর্শন এবং গবেষণার মাধ্যমে ইতিহাস পুনরুদ্ধারের কাজে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিয়োজিত রয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উপ-মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন অধিদপ্তর। ১৮৬১ সালে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া নামে এ অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর ঢাকায় বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৮৩ সালে বিভাগীয় পূনর্বিন্যাসের মাধ্যমে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়সহ ৪টি আঞ্চলিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের, রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের, খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের, এবং চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় ৫৩৬টি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি রয়েছে। তন্মধ্যে মহাস্থানগড়, ময়নামতি, শালবন বিহার, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, সীতাকোট বিহার, কান্তজীর মন্দির, ছোট সোনা মসজিদ, ষাটগম্বুজ মসজিদ, ভাসুবিহার, বারোবাজার, লালবাগ দুর্গ প্রভৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি ও প্রত্নস্থল। 

এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ৩১টি জাদুঘর ও প্রত্নস্থল প্রবেশ মূল্যের বিনিময়ে পরিদর্শনের জন্য চালু রয়েছে। এসব জাদুঘর ও প্রত্নস্থলে প্রদর্শিত নিদর্শনসমূহ পরিদর্শন করে দেশী ও বিদেশী দর্শনার্থী, ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকগণ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করে থাকেন।